পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভোগ দখলীয় জমিতে একদল সন্ত্রাসী রাতের আধারে অনধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক ঘর তোলার কাজে বাধা দেয়ার সময় অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাতে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের শ্যামলীবাগ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে গলাচিপায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীরা হলেন মো. জসিম খান, আলামিন খান, রবিউল খান, মোসা. ফাতেমা বেগম, আবুল বাসার খান, আলতাফ হোসেন মিস্ত্রি ও হামিদা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের শ্যামলীবাগ শাহী জামে মসজিদের পূর্ব পাশে নাইয়া বাড়ির রাস্তার পশ্চিম পাশে বাদীর রেকর্ডীয় ভোগ দখলীয় ৯ শতাংশ জমি রয়েছে। যার জেএল নং ৪৯, এস এ খতিয়ন নং ৯৭/৯৯/১০১ এবং দাগ নং ১৯২।
মামলার আসামীদের সাথে এই জমি নিয়ে গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে সি আর মামলা নং ১৫২/২১ সমনকৃত রয়েছে। কিন্তু জমি-জমা ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বিবাদীরা মঙ্গলবার দিবাগত রাতে খালি জায়গায় অনধিকার প্রবেশ করে রাতের আঁধারে ঘর তোলার পায়তারা করে।
বাদী ফজলুর রহমানের শ্যালক মো. জাকির হোসেন টের পেলে এতে বাধা দেয়। বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসীরা লাঠি-সোটা ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে ফুলা জখম ও রক্তাক্ত করে।
এ ঘটনায় জাকির হোসেনের স্ত্রী খাইরুন্নেছার কাপড় টানা হেচড়া পূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। ঘটনার সময় তার গলায় থাকা ৭৫ হাজার টাকা দামের ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের মানুষ এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে তাদের খুন জখমের হুমকি চালায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ এম আর শওকত আনোয়ার জানান, মামলা হয়েছে এবং ১নং আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।